ফরিদপুর জেলার উপজেলাসমূহ >> চরভদ্রাসন উপজেলা
চরভদ্রাসন উপজেলা
- প্রতিষ্ঠা সালঃ ১৯৮৩ সাল
- আয়তনঃ ১৪১.৫৯ বর্গকিলোমিটার
চরভদ্রাসন উপজেলার মাঝখান বরাবর প্রায় অর্ধেক অংশ জুড়ে পদ্মার বিশাল জলরাশি বিস্তত রয়েছে। পদ্মা অববাহিকায় জলদস্যুদের দমনের জন্য ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে চরসালেপুরে একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হয়। এর তিন বছর পর পুলিশ ফাঁড়িকে থানায় রুপান্তরিত করা হয় ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে। কালক্রমে পদ্মার ভাংগনের কবলে পড়লে থানা কার্যালয়টি পাশ্বর্বতী ব্যবসা কেন্দ্র হাজিগঞ্জে স্থানান্তরিত হয় ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে। ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে এটি চরভদ্রাসন বাজার সংলগ্ন লোহারটেক এলাকায় নদীর তীরে স্থানান্তর করা হয়।
চরভদ্রাসন নামকরনের পিছনে কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা রয়েছে। ওহাবী আন্দোলনের অন্যতম নেতা স্যার সৈয়দ আহমেদ ব্রেহলবীর অনুসারী অত্র এলাকার মকিম সরদার যিনি প্রথম জীবনে ফরিদপুরের বিখ্যাত হিন্দু জমিদার কানাই শিকদারের জমিদারীর পেয়াদা ও সরদার ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি স্থানীয় কৃষকদের সংগঠিত করেন এবং খাজনা দেয়া বন্ধ করে দেন। এর ফলে জমিদারের লাঠিয়াল বাহিনীর সাথে তাঁদের সংঘর্ষ হয়। জমিদার মকিম সরদারকে শায়েস্তা করার জন্য ইংরেজ সরকারের স্মরণাপন্ন হয়। ইংরেজদের বন্ধুক বাহিনীর সাথে মকিম বাহিনীর প্রচন্ড লড়াই হয়। মকিম সরদার পরাজিতও বন্দী হন। এরপর জমিদার তাদের মতো তাবেদার হিন্দ্র ভদ্র লোকদের চর এলাকায় পত্তন দেয়। হিন্দু ভদ্রলোক থেকে এলাকার নাম চরভদ্রাসন হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। চর মকিম নামে একটি গ্রাম ছিল যা পরবর্তীতে পদ্মার ভাংগনে বিলীন হয়ে যায়।
চরভদ্রাসনের বহু গ্রামের নামের শুরুতে বা শেষে চর বা ডাঙ্গী শব্দের একটি অভিনব শব্দ প্রয়োগ দেখা যায়। যার দৃষ্টান্ত এবং ধরন অন্য কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না।
চরভদ্রাসন উপজেলার উত্তর পূর্বে পদ্মা নদী যা লৌহজং, দোহার ও হরিরামপুর উপজেলাকে পৃথক করেছে। পূর্ব দক্ষিণে সদরপুর উপজেলা, দক্ষিণ-পশ্চিমে নগরকান্দা উপজেলা এবং দক্ষিণে ফরিদপুর সদর উপজেলা।
চরভদ্রাসন উপজেলার বৃহৎ অংশ জুড়ে রয়েছে পদ্মা নদী।
চরভদ্রাসন উপজেলা ৪ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।
চরভদ্রাসন উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৫৪ টি। মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১৪ টি। সরকারি ডিগ্রী কলেজ রয়েছে ১ টি।
চরভদ্রাসন উপজেলায় জামে মসজিদ রয়েছে ২০৭ টি।
দাখিল মাদ্রাসা রয়েছে ১ টি।
ফরিদপুর জেলা সদর হতে চরভদ্রাসন উপজেলা সদরের দুরত্ব ২৫ কিলোমিটার। এই রুটে এখন লোকাল বাস চলাচল করে না। জেলা সদর হতে অটো, সিএনজি, লেগুনা নিয়মিত চলাচল করে থাকে।
এছাড়া চরভদ্রাসন গোপালপুর ঘাট হতে নদী পথে মৈনট ঘাট হয়ে রাজধানী ঢাকা যাতায়াত করা যায়। এখানে যাতায়াতের বাহন হিসাবে স্পিড বোড পাওয়া যায়।
Last updated at 7 months ago