প্রিয় ফরিদপুর.কম

ফরিদপুর জেলায় স্বাস্থ্য সেবা

ফরিদপুর জেলার স্বাস্থ্য সেবার ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা চলে আসছে বিট্রিশ আমল থেকে। ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল যেটি ফরিদপুর সদর হাসপাতাল নামে বেশি পরিচিত সেটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের স্বাস্থ্য সেবার প্রাতিষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছিলো। বিট্রিশ আমলে শতবছর পূর্বে নির্মিত্ত হাসপাতাল ভবনেই এখন স্বাস্থ্য সেবা চলমান রয়েছে। উনিশ শতাব্দীর তিরিশি দশকের শেষের দিকে ফরিদপুর সদর হাসপাতালে সর্বপ্রথম এক্স-রে মেশিন আসে তখন বাংলার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন ফরিদপুর জেলার কৃতি সন্তান মৌলভী তমিজ উদ্দিন খান। এরপর ভারত ভাগের পর পূর্ব পাকিস্থানের সমাজকল্যাণ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন মরহুম আবদাল্লাহ জহীর উদ্দিন লাল মিয়া।  তিনি হোমিওপ্যাথি এবং আয়ুর্বেদ শাস্ত্রকে সরকারী স্বীকৃতি দিয়ে এ দেশের স্বাস্থ্যসেবায় অমর হয়ে আছেন। এছাড়া এ সময়ে এ অঞ্চলের বিশিষ্ট আলেম ও সমাজ সেবক মরহুম মওলানা আব্দুল আলী হেকমী চিকিৎসায় খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।

স্বাধীন বাংলায় ফরিদপুরের কৃতি সন্তান কিংমেকার মোহন মিয়া সাহেবের সুযোগ্য পুত্র চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ স্বাস্থ্য মন্ত্রী থাকাকালীন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা নিতে ফরিদপুর জেলার মানুষ ছাড়াও আশে পাশের অন্যান্য জেলা থেকেও রোগীরা এসে থাকেন। কিন্তু এ জেলার সরকারি হাসপাতালসমূহের সেবার মান এখনও কাঙ্খিত মানের পর্যায়ে আসেনি। এজন্য বেসরকারী পর্যায়ে গড়ে উঠেছে অনেক বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক। ফরিদপুর জেলায় স্বাস্থ্য সেবার বেসরকারি উদ্যোগের অবদানও অনেক বড়। বেসরকারি পর্যায়ে মরহুম ডাঃ মোহাম্মদ জাহেদ গরীব ও দুস্থ শিশুদের কৃমির আক্রমন থেকে রক্ষা করার মহান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গড়ে তোলেন ফ্রাইডে ক্লিনিক যা বর্তমানে ডাঃ মোহাম্মদ জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতাল নামে পরিচিত।

এছাড়া ফরিদপুর জেলার স্বাস্থ্যসেবায় আর একটি নাম প্রফেসর এম এ সামাদ। যার নিরলস প্রচেষ্টায় ফরিদপুর ডায়বেটিক সমিতি হাসপাতাল, ফরিদপুর হার্ট ফাউন্ডেশন, বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতাল বেসরকারী চিকিৎসায় অনেক ভূমিকা রেখে চলেছে।

www.priofaridpur.com


Monday, 30th December 2024

© www.priofaridpur.com

Our Facebook Group

Email:-priofaridpur@gmail.com

This Application Developed by Visual Art