ফরিদপুর জেলার স্মরণীয় ব্যক্তিবর্গ >> আব্দুর রহিম মিয়া
আব্দুর রহিম মিয়া
- জন্ম সালঃ
- জন্ম স্থানঃ ফরিদপুর
- মৃত্যু সালঃ ১৯৯৫ সালের ২৩ অক্টোবর
ফরিদপুরের একজন অভিজাত শ্রেণির ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ছিলেন তিনি। অথচ নিজেকে তিনি সারাজীবন উজার করে দিয়ে গিয়েছিলেন আপামর জনসাধারণের সেবায় অসংখ্য জনহিতকর কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত রেখে। তিনি ফরিদপুরের বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী মরহুম আব্দুর রহিম মিয়া। ফরিদপুর জেলার একজন সর্বজনশ্রদ্ধেয় ও সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। প্রাচীন জেলা শহর ফরিদপুরে আশির দশকের একজন বরেণ্য সমাজসেবক হিসেবে আব্দুর রহিম মিয়ার সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি ফরিদপুর জেলা শহরে নানাবিধ কর্মকান্ডের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মনিকোঠায় একজন নিবেদিত সমাজসেবক ও দানবীর হিসেবে স্থান করে নেন।
তিনি দক্ষিণবঙ্গের বিশেষায়িত শিশু হাসপাতাল ডা. মো: জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতাল, স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ফরিদপুর মুসলিম মিশন, ফরিদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতাল, সবজাননেসা মহিলা দাখিল মাদ্রাসা ও এতিমখানা এবং বিভিন্ন মসজিদসহ অসংখ্য জনসেবামুলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নের সাথে নিবীড়ভাবে জড়িত ছিলেন। এসব প্রতিষ্ঠান স্থাপনে তিনি প্রথম সারিতে থেকে অর্থ সহায়তাসহ নানাবিধভাবে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে মানবসেবার এক অনন্য নজির স্থাপন করে গেছেন। তার হাত ধরেই ফরিদপুরের সর্বপ্রথম মেয়েদের মাদ্রাসা ও মেয়ে শিশুদের প্রতিপালনের জন্য সাবজাননেছা মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানা গড়ে উঠে। সুনামের সাথে প্রতিষ্ঠানটি শত শত মা-বাবাহারা এতিম মেয়ের জীবন গড়ার আঙিনা হিসেবে আলো ছড়াচ্ছে। তিনি নিজ অর্থায়নে দারুল ফালাহ জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। চকবাজার জামে মসজিদের সম্পাদক থাকাকালে বেদখল হওয়া সম্পত্তি উদ্ধার করেন। তার সময়ই মওলানা মুমাজ্জাদ হোসেনকে ইমাম নিয়োগ করেছিলেন। চেম্বার অব কমার্সের পুরাতন ভবন ভেঙে নতুন ভবন করার সময়ে এবং ট্রাক মালিক সমিতির অফিস করতে মোটা অংকের টাকা অনুদান দিয়েছিলেন । ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কথা ভেবেই ফরিদপুরে প্রথম কোল্ড স্টোরেজ বানিয়েছিলেন। নিজে হজ্জ করতে না পারায় বেশ কয়েকজনকে বদলে হজ্জ করিয়েছিলেন ।
১৯৯৫ সালের ২৩ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তিনি চার ছেলে পাঁচ মেয়ে রেখে গেছেন। তারা সকলেই সুপ্রতিষ্ঠিত।
Last updated at 2 weeks ago
www.priofaridpur.com
Wednesday, 6th November 2024