ফরিদপুর জেলা ব্রান্ডিংঃ পাট
জেলা ব্রান্ডিং এর উদ্দেশ্যঃ
জেলার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গতি সঞ্চার, জেলার অর্থনেতিক, সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জেলার ইতিবাচক ভাবমূর্তি বিনির্মাণ, স্থানীয় উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও প্রসার, দারিদ্র ও বেকারত্ব দূরীকরণ।
জেলা ব্রান্ডিং লোগোঃ
পাটকে মানুষের অস্থিমজ্জা ও আত্বার সাথে মিলিয়ে দেওয়ার জন্য পাট আঁশের তৈরি রশির বৃত্তের মাঝখানে পাটপাতা ও পাটগাছ সমৃদ্ধ ট্যাগলাইনই ফরিদপুরের ব্রান্ডিং লোগো। রশির বৃত্ত দিয়ে বোঝানো হয়েছে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির মাধ্যমে ফরিদপুর তথা বাংলাদেশবাসীর না শেষ হওয়া একাত্নতা।
পাট বাংলাদেশের অত্যন্ত অর্থনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ একটি পন্য। কারন পাটকে বাংলাদেশের সোনালী আঁশ বলা হয়।
আর পাট উৎপাদনের শীর্ষ জেলা হিসাবে ফরিদপুর অনেক আগে থেকেই সুপরিচিত। দেশের ১২.৫% পাট উৎপাদন হয় ফরিদপুর জেলাতে। জেলার ৮২০৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়। ২০১৮ সালে
পাটকে জেলার ব্রান্ডিং পন্য হিসাবে আনুষ্ঠিকভাবে ঘোষনা করা হয়। ফরিদপুর জেলার জলবায়ু ও মাটি পাট চাষের জন্য খুবই প্রসিদ্ধ। কিন্তু কৃষকদের উৎপাদন খরচের তুলনায় তারা সঠিক দাম পাচ্ছে না।
এজন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা জরুরী বলে বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন।
ফরিদপুর জেলায় একটি পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট রয়েছে। এ জেলায় ২০ টি পাটকল রয়েছে। পাটকল গুলোতে প্রায় ৩০,০০০ লোক বল কাজ করে। পাট ও পাট পণ্য পরিবহনের জন্য এ জেলায় রয়েছে সড়কপথ, নদীপথ ও রেলপথ।
পলিথিন তথা প্লাটিক বজ্য মাটির উর্বরতা শক্তি নষ্ট করে ফেলে। তাই পলিথিন জাতীয় পন্য পরিবেশের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর। অপরদিকে পাটপন্য বা পাটের ব্যাগ পরিবেশ দুষনমক্ত । পাটজাত পন্য উৎপাদন ও ব্যবহার করে প্রাকৃতিক পরিবেশকে আমরা দুষনমুক্ত রাখতে পারি। এরজন্য সরকারি বৃহৎ উদ্যোগ জরুরী বলে বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন।
www.priofaridpur.com
Saturday, 21st December 2024